Thursday, February 18, 2016

পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে যা দরকার


ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.)
বহু বছর পর পার্বত্য চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম নিছক ভ্রমণে। যদিও প্রায় আট বছর আগে গিয়েছিলাম তিন জেলা সদর খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে নির্বাচন কমিশনের কাজে। সেটা ছিল ১৯৯২ সালে বান্দরবানে আমার প্রায় তিন বছরের ব্রিগেড তথা রিজিয়ন কমান্ডারের দায়িত্ব ছাড়ার পরের ভ্রমণ। ওই সময়টি ছিল সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত সামরিক বাহিনী ও বেসামরিক প্রশাসনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ও ক্রান্তিলগ্ন। সরকারের পরিবর্তন হয়েছিল। এরশাদ সরকারের পতনের পর নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছিল।
এর মাত্র কয়েক বছর আগে থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের ইনসারজেন্ট গ্রুপ পিসিজেএসএসের (পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি) সঙ্গে কয়েক বছর ধরে যে আলোচনা চলছিল তাতে কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে সংঘর্ষে লিপ্ত শান্তিবাহিনীর একাংশ প্রিতী গ্রুপের আত্মসমর্পণের পর এবং পিসিজেএসএস তথা শান্তিবাহিনীর অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে সংগঠনটির নেতা মানবেন্দ্র লারমার রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের পর শান্তিবাহিনীর সক্ষমতা অনেক কমে আসে। অপরদিকে বিশেষত ত্রিপুরা রাজ্যে প্রায় ৪৫ হাজার মূলত চাকমা শরণার্থীর চাপের কারণে ওই সময়কার রাজ্য সরকারও শরণার্থীদের ফিরিয়ে দেয়ার তাগিদ অনুভব করছিল।

এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে ১৯৯০ সালে তিন পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা পরিষদকে স্থানীয় পর্যায়ে অধিকতর স্বায়ত্তশাসনের প্রক্রিয়ায় আনতে আইন পাস করে প্রথম নির্বাচন করা হয়েছিল। সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের তেরোটি ছোটবড় উপজাতীয় গোষ্ঠী এবং বাংলা ভাষাভাষী স্থানীয়দের আনুপাতিক হারে সদস্য নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল তিন পার্বত্য জেলার জেলা পরিষদ, যেগুলোর চেয়ারম্যান পদ সংরক্ষিত রয়েছে শুধু নির্বাচিত উপজাতীয়দের মধ্যে। খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, বান্দরবানে জেলা পরিষদ কার্যকর রয়েছে। তবে প্রথম নির্বাচনের পর বিভিন্ন কারণে এখন পর্যন্ত আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। জেলা পরিষদ গঠন ও নির্বাচনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠেছিল। এটি পিসিজেএসএসের মানবেন্দ্র লারমা-উত্তর নেতাদের ওপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছিল। প্রায় প্রতিনিয়তই আত্মসমর্পণ করছিলেন সদস্যরা। বিশেষ করে বান্দরবান অঞ্চলে, যেখানে তেরোটি উপজাতির অস্তিত্ব রয়েছে। শান্তিবাহিনীর প্রকোপ একেবারেই শূন্যের কোঠায় নেমে আসায় এবং জেলা পরিষদসহ স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায় সম্প্রীতির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। এমনই এক অবস্থায় আমার পার্বত্য চট্টগ্রাম ছেড়ে আসা।

বস্তুতপক্ষে প্রায় সব সরকারেরই প্রচেষ্টা ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার। এ প্রেক্ষাপটে ১৯৯৭ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পিসিজেএসএসের সঙ্গে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি সম্পাদন করে। ওই চুক্তি সম্পাদনের পর প্রায় ১৮ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে পরিবর্তন হয়েছে তা চোখে পড়ার মতো। তবে ওই চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন নিয়ে এখনও উপজাতীয় নেতৃবৃন্দ ও গোষ্ঠীর মনোকষ্ট রয়েছে। এই চুক্তির পক্ষে-বিপক্ষে এখনও বিতর্ক চলছে। চুক্তিটির সবচেয়ে জটিল বিষয় ভূমি জরিপ এবং মালিকানা নির্ধারণ। এই জটিলতার অন্যতম কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামের বাংলাভাষী, বিশেষ করে ১৯৭৫ সালের পর পুনর্বাসিতদের চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না করা। ১৯৭৫-৮০ এবং এর পরও যেসব বাংলাভাষী পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষভাবে পুনর্বাসিত হয়েছিল, তাদের দুই থেকে তিন প্রজন্ম এখন বিশেষ করে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির বাসিন্দা। শান্তিচুক্তিতে এদের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এত বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে কোথায় কী পদ্ধতিতে পুনর্বাসন করা হবে বা যাবে, তার কোনো উল্লেখ যেমন চুক্তিতে নেই, তেমনি সরকারি পর্যায়ে পরিকল্পনাও নেই। আমার মনে হয়েছে, এটি শান্তিচুক্তির অন্যতম জটিল বিষয় হওয়া ছাড়াও বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাস্তবতা বিবর্জিত। কয়েক বছর আগে বিষয়টি আমি পিসিজেএসএসের বর্তমান নেতা সন্তু লারমার সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় তুলেছিলাম। মনে হয়েছিল বিষয়টি তিনিও এখন অনুধাবন করেন।

প্রধানত এই ইস্যুটিসহ কিছু আইনি জটিলতার কারণে ভূমি সংক্রান্ত এবং আঞ্চলিক পরিষদ গঠনের মাধ্যমে অধিকতর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের প্রশ্নে রিট থাকার কারণে এ বিষয়ে অগ্রসর হওয়া যাচ্ছে না। ১৯৭৫ সালের পর যেসব বাংলা ভাষাভাষীকে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল, তাদের ওইসব জমিজমা থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা যেমন আইনি জটিলতার মধ্যে পড়বে, তেমনি নিদারুণ এক সংকট তৈরি হবে, যা কোনো সরকারের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব হবে না।

পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি মালিকানা নির্ধারণ করা বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো সহজ নয়। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রচলিত রীতিমতে উপজাতীয়দের বেশিরভাগ জমি সার্কেল প্রধান দ্বারা মৌখিকভাবে নির্ধারিত, যে কারণে এসব জমির মালিকদের দেশের প্রচলিত আইনমতে ভূমির মালিকানার দলিলাদি নেই। এ কারণেই সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রত্যাগত শরণার্থীরা দাবিকৃত ভূমিতে ফিরতে পারছে না। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসের যে রক্তাক্ত অধ্যায় শুরু হয়েছিল স্বাধীনতার প্রায় এক বছর পর, তা বেগবান হয় ১৯৭৫-এর পর থেকে। ওই সময়ে সামরিক বাহিনীর তৎপরতা অনেকের কাছে বিতর্কিত হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের সংহতি ও শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য সে সময় যা প্রয়োজন ছিল তা করতে হয়েছিল। যেসব দেশ ইনসারজেন্সিতে ভুগছে, সেসব দেশে সামরিক সংশ্লিষ্টতা হয়েছে এবং চলমান রয়েছে বহু বছর ধরে। বিগত ৬০ বছর ভারতের কাশ্মীরে, নাগাল্যান্ডসহ বহু জায়গায় এখনও ইনসারজেন্সির বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর যে তৎপরতা চলছে, তারই মধ্যে রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার প্রচেষ্টা চলছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্যমান পরিস্থিতির উদ্ভব সামরিক কারণে হয়নি, হয়েছিল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, যার সমাধান খুঁজতে হয়েছে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে।

কোনো দেশেই শুধু সামরিক শক্তি প্রয়োগে ইনসারজেন্সির সমাধান হয়নি বা হওয়ার নজির নেই। ইনসারজেন্সি আত্মকলহে নিষ্প্রভ হয়েছে অথবা আলোচনার টেবিলে এর নিষ্পত্তি হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামেও এই একই ফর্মুলা ব্যবহারের কারণে ১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। তবে শান্তিচুক্তির কারণে যে কোনো গোষ্ঠী সম্পূর্ণভাবে নিবৃত্ত হয়েছে, এমন উদাহরণও বেশ বিরল। এক পক্ষ শান্তিচুক্তির পক্ষে থাকলেও মতপার্থক্যের কারণে চুক্তির বিরোধিতায় জন্ম নেয় প্রতিপক্ষ। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর ক্ষেত্রেও তেমনই দেখা যায়। আসামে নাগাল্যান্ড, মিজোরামে তেমনই হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এ ধরনের নজির রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামও এর বাইরে ছিল না। পিসিজেএসএস শান্তিচুক্তি সম্পাদন করলেও ওই সংগঠনের একাংশ ইউপিডিএফ নাম ধারণ করে চুক্তির প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রামে শক্তি সঞ্চয় করছে এবং ব্যাপক চাঁদাবাজি ও অপহরণের তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। শুধু তাই নয়, পিসিজেএসএসের সঙ্গে মতপার্থক্য দূর করে পুনরায় সংগ্রামের ডাক দিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছে। ইউপিডিএফ শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের চেয়েও পুরনো দাবির পক্ষে যুক্তি দাঁড় করার চেষ্টায় লিপ্ত। সংগঠিত হওয়ার চেষ্টায় নতুন নেতৃত্ব গঠনেরও পথে রয়েছে ইউপিডিএফ। তাদের লিফলেট আর পোস্টারে ছেয়ে গেছে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি জেলা। এ সবই চোখে পড়ার মতো।

যা হোক, আগেও বলেছি যে, ১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তির ক্ষেত্র তৈরি হয়েছিল আগের সরকারগুলোর সময় হতেই এবং পরিবর্তিত আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। তবে এ চুক্তিকে বাস্তবে রূপ দেয়ার কৃতিত্ব ওই সময়কার আওয়ামী লীগ সরকারের। অবশ্য ওই সময়ে বিএনপি শান্তিচুক্তির সমর্থন না করলেও পরবর্তীকালে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে গেলেও ভূমির মালিকানা, যা এখনও মূল সমস্যার বিষয়, নির্ধারণ করার পথ খুঁজে পায়নি। এ নিয়ে সামান্য আলোচনা আগেও করেছি।

মূল সমস্যা ছাড়া আরও কিছু সমস্যার সমাধান এখনও হয়নি। উদাহরণস্বরূপ, প্রায় ২১ বিষয় জেলা পরিষদগুলোকে হস্তান্তর করলেও ভূমির ব্যবহারে ছাড়পত্র দেয়ার ক্ষমতা এখনও কার্যকর হচ্ছে না বা করা যাচ্ছে না। পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবহার ও অধিগ্রহণ এখনও প্রচলিত ও অপ্রচলিত তিনটি আইনের আওতায় থাকলেও সরকারের ক্ষমতা থেকেই গেছে।

১৯৯০ সালে বিশেষ ব্যবস্থায় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম হিল ডিস্ট্রিক্ট অ্যাক্টের আওতায় একমাত্র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যার পর আর কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি, এমনকি শান্তিচুক্তির আওতায় গঠিত হিল কাউন্সিলের নির্বাচন এখনও হয়নি। এসব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত প্রতিনিধির অবর্তমানে কার্যকর হচ্ছে না। হিল কাউন্সিলের আইনি জটিলতা থাকলেও হিল ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলগুলোর নির্বাচন অত্যাবশ্যকীয় সরকার অর্পিত ক্ষমতার সুষ্ঠু ব্যবহারের জন্য।

১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তির পর থেকে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থসামাজিক উন্নয়নের গতি চোখে পড়ার মতো। অবকাঠামোর অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণে এক সময়ের বিচ্ছিন্ন জনপদগুলো যুক্ত হয়েছে মূলধারার সঙ্গে। যার কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থানীয়রা যুক্ত হয়েছেন। তবে আরও যুক্ত করার লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। সমগ্র অঞ্চলে শিক্ষাব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে। মুখরিত শিক্ষাঙ্গন। ছোট ছোট উপজাতীয় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত জনপদ।

শান্তিচুক্তির কারণে উন্মুক্ত হয়েছে সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্প, যার প্রভাব পড়ছে ওই অঞ্চলের অর্থনীতিতে। তবে আরও উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। প্রয়োজন রয়েছে ছোট ছোট কুটির ও কৃষিভিত্তিক ছোট ও মাঝারি আকারের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ। এসব প্রয়াসে স্থানীয় উপজাতীয়দের সম্পৃক্ত করার প্রয়োজন রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারের বিশেষ নজদারির প্রয়োজন রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, যার কৃতিত্ব বর্তমান সরকারের তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

পার্বত্য চট্টগ্রামে যে উন্নতির ছোঁয়া প্রতীয়মান, তা শান্তিচুক্তির প্রেক্ষাপটে শান্ত পরিবেশের কারণেই সম্ভব হয়েছে। বজায় থেকেছে এর ধারাবাহিকতা। এত কিছুর পরও কথা থেকে যায়। শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দু’-একটি ধারা আইনি জটিলতায় পড়েছে। তবে মূল সমস্যা ভূমির মালিকানা নির্ধারণ, যা একটি জটিল প্রক্রিয়া। কারণ বাংলা ভাষাভাষীদের প্রায় তিন প্রজন্মের উপস্থিতি এবং জমির মালিকানার দাবিদার জনসংখ্যা। বর্তমানে প্রায় সমানসংখ্যক বাংলা ভাষাভাষীর বাস পার্বত্য চট্টগ্রামে এবং তাদের সিংহভাগ অর্থনৈতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। এদের অবস্থান এবং ভূমি বিন্যাস সবচেয়ে বড় অন্তরায়, যা কোনো সরকারের পক্ষে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। কাজেই এ সমস্যার সমাধানে সব পক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে পাশ কাটিয়ে কোনো সরকারের পক্ষেই পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। প্রয়োজন সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজা। আমাদের দেশের এই বিশেষ অঞ্চলের শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখা সরকারসহ দেশের সব সংস্থার কর্তব্য।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন (অব.) : সাবেক নির্বাচন কমিশনার


উৎস : দৈনিক যুগান্তর, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

No comments:

Post a Comment