॥ ড. ইশা মোহাম্মদ ॥
স্কটল্যান্ড গ্রেটব্রিটেন থেকে বিচ্ছিন্ন হতে স্বাধীনতার পক্ষে গণভোটের অনুষ্ঠান করেছে। সে দেশের রাজনীতিকদের মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সাধারণ মানুষের মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি মেলেনি। ব্যাপক সাধারণ মানুষ গ্রেটব্রিটেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। অর্থাৎ তারা স্বাধীনতা চায় না। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর একজন হয়ে বেঁচে থাকতে চায়। যারা হ্যাঁ ভোট দিয়েছে, তারা তাহলে কারা! স্কটল্যান্ড ৪২ বছর ধরে স্বাধীন দেশ ছিল। ইংল্যান্ড আগ্রাসী হয়ে ওঠে এবং এক সময় পার্শ্ববর্তী দেশ-স্থান দখল করতে থাকে। স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েলসল্যান্ড দখল করে গ্রেটব্রিটেন গড়ে তোলে। কিন্তু ব্রিটেন কখনোই এক জাতিসত্ত্বা হয়ে উঠতে পারেনি।
প্রধানত ইংল্যান্ডের আভিজাত্য ইউরোপে গৃহীত না হওয়ার কারণে তাদেরকে সমুদ্র তীরবর্তী জেলে সম্প্রদায় হিসেবে গণ্য করার কারণে ঐ দখলকৃত দেশের জনসাধারণ তাদের সাথে একাত্ম হয়নি। কিন্তু তাদের ঘৃণাবোধ ইংল্যান্ডকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। প্রধানত তাদের বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কারণে। গ্রেটব্রিটেনের মেরিটাইম পাওয়ার বিশ্বব্যাপী লুণ্ঠন করে প্রচুর ধনসম্পদ সংগ্রহ করে এবং একপর্যায়ে ইউরোপের শ্রেষ্ঠ শিল্প সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হয়।
শিল্পে সমৃদ্ধি তাদের সাহস আরো বাড়িয়ে দেয় এবং বিশ্বব্যাপী উপনিবেশ তৈরি করে জাতীয় সম্পদ আরো বৃদ্ধি করে। ভারত বিশেষত বাংলা দখল করে তারা পাইরেসি করে তিনশ’ বছর যা পায়নি তা এক লহমায় পেয়ে যায়। অনেক চিন্তাবিদই বলেছেন, নবাব সিরাজের রত্নভা-ার লুট করেই তারা তাদের শিল্পায়নের প্রাথমিক খরচ নির্বাহ করেছিল। ইংল্যান্ডের শিল্পায়ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পায়নেরও শর্ত। ওইসব কেতাবী তর্কে না গেলেও বলা যায় যে, উপনিবেশের লাভ গ্রেটব্রিটেনের সবকটি দেশ ভোগ করেছিল বলে সে সময় ওইসব দেশের সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার দাবিতে খুব একটা বেশি সোচ্চার ছিল না। কিন্তু দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়। প্রায় সবকটি উপনিবেশই স্বাধীন হয়ে যায় অথবা নামকাওয়াস্তে গ্রেটব্রিটেনের অধীনস্ত থাকে। ফলে উপনিবেশ শোষণের ভাগাভাগিতে টান পড়ে এবং ওইসব দেশগুলো গ্রেটব্রিটেন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার দাবির শুরু অনেকটা ঐ একই কারণে।
স্কটল্যান্ড প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। কিন্তু তার সমুদ্র তীরবর্তী এবং অগভীর সমুদ্রের সম্পদ আহরণের ক্ষমতা নেই। তার নিজস্ব কোন অর্থনীতি নেই। সামরিক চাহিদা নেই। তাদের মনের কথা জোরেশোরে বলারও কোন স্বতন্ত্র মাধ্যম নেই। যে দেশের যুবকরা ঠাট্টা করে বলে, আমাদের কোন বিবিসি নেই। তারপরেও সেখানকার আজকের যুবকরা অনেকটা স্বাধীনচেতা। তারা হয়তো স্বাধীনতা চায়। কিন্তু প্রবীণ ও ভুক্তভোগীরা অতটা স্বাধীনচেতা নয়। তারা দুটি বড় বিশ্বযুদ্ধ দেখেছে। তারা শুধু যুদ্ধ দেখেনি, ঐ যুদ্ধ দুটিতে মানবতার বিপর্যয়ও দেখেছে। সেদিনের অভিজ্ঞতায় তারা বোঝে, ঐ সময় যদি স্কটল্যান্ড স্বাধীন থাকত, তবে জার্মানরা দেশটি দখল করত এবং তাদেরকে ধ্বংস করত। তাদের কপাল ভালো যে, তারা ঐ সময় স্বাধীন ছিল না। কিন্তু আজকের তরুণদের ভাবনা ভিন্ন। তারা ভুল বুঝে কিংবা অন্যকোন প্ররোচণায় স্বাধীন হতে চাচ্ছে।
কেন এখন স্কটল্যান্ড স্বাধীন হতে চায়? সম্ভবত তারা সমহারে উন্নয়ন চায়। ইংল্যান্ড যতখানি উন্নত, স্কটল্যান্ড ততখানি উন্নত নয়। আর স্কটল্যান্ডের প্রাকৃতিক সম্পদ অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও তারা তার সুফল ভোগ করতে পারে না। তাদের ধারণা হয়েছে, তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ তারা ব্যবহার করে ইউরোপের শ্রেষ্ঠ ধনী দেশে পরিণত হতে পারবে। কিন্তু বিষয়টি যত সহজে তারা বলছে, ঘটনা তত সহজে ঘটবে কি না তা এখনই নিশ্চিত হতে পারছেন প্রবীণরা। প্রবীণদের আশঙ্কা তাদেরকে পুঁজি ও প্রকৌশলগত সাহায্য দেয়ার নাম করে আসবে আর্থ-সা¤্রাজ্যবাদ।
আর্থ-সা¤্রাজ্যবাদকে তারা অনুভব করতে পারে না। কেননা, গ্রেটব্রিটেন আর্থ-সা¤্রাজ্যবাদের অংশভাগী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ করে ইহুদী পুঁজির নিয়ন্ত্রণে আর্থ-সা¤্রাজ্যবাদ বিশ্বব্যাপী শোষণ করছে। তারা এখন অনুভব করছে, স্কটল্যান্ডের অনাঘ্রাতা প্রাকৃতিক সম্পদ-যা সাগরের নিচে ডুবে আছে; তার মালিকানা তাদেরই। এটি আর্থ-সা¤্রাজ্যবাদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তাবৎ বিশ্বের সকল সম্পদের মালিকই তারা। গরিব দেশগুলো প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে ধনী হলে তাদের তো কোন লাভ নেই। তারা পুঁজিতে প্রকৌশলগত স্থানে অনেক সমৃদ্ধ। তারা বিশ্ব সম্পদ ব্যবহার করবে। আর আমরা চেয়ে চেয়ে দেখবো! যেমন বঙ্গোপসাগরের প্রাকৃতিক সম্পদ তারা ভোগদখল করার সব প্রক্রিয়াই প্রায় সম্পন্ন করেছে। অনেকটা তেমনভাবে স্কটল্যান্ডের সমুদ্র সম্পদ তারা দখল করতে চাচ্ছে। কিন্তু সেখানে প্রবল বাধা ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডেরও পরিকল্পনা আছে, স্কটল্যান্ডের সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করার। এক দেশ হওয়ার কারণে তাদের পক্ষে খুব সহজেই সম্পদ আহরণ ও ব্যবহার করা সম্ভব। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে ইহুদী পুঁজি তা চায় না। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। স্কটল্যান্ডকে স্বাধীন করে উন্নয়নের অংশীদার হয়ে সেখানকার প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ ও ব্যবহার করার জন্য। বাজারও হাতের কাছেই। পুরো ইউরোপই তাদের বাজার। ভালো রকম মুনাফাও হবে। সন্দেহ করা যায় যে, আর্থ-সা¤্রাজ্যবাদী প্ররোচণাতেই স্কটল্যান্ড স্বাধীন হতে চাচ্ছে।
তাদের স্বাধীনতার পক্ষে যারা কাজ করছে, তাদের সামনে বড় দুটি বাধা আছে। এক ভাষা, দুই সংস্কৃতি। স্কটল্যান্ডের প্রাচীন ভাষার এখন আর কোন ব্যবহারিক মূল্য নেই। তারা ইংরেজি ভাষায় কথা বলে। আধুনিক ইউরোপের বিচারে স্পষ্ট শব্দের স্বতন্ত্র সংস্কৃতির অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। সাধারণ মানুষ শতভাগ গণতন্ত্রীও নয়। তারা কুইন এলিজাবেথকেই ‘রানী’ রাখতে চায়। অন্য বিষয়টি হচ্ছে জনসংখ্যা। স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের যে ন্যূনতম জনসংখ্যা থাকা উচিত, তা তাদের নেই। যদি বলা হয় যে, তাদের জনসংখ্যার সমান বা আরো কম জনসংখ্যার দেশও পৃথিবীতে আছে তবে তাদের জানতে হবে যে, তাদের প্রকৃত সার্বভৌমত্ব নেই। তারা বড় বড় ক্ষমতাধরদের পুতুল। পার্থক্য শুধু এই, এ মুহূর্তে তাদেরকে ইচ্ছামত পিটানো হচ্ছে না।
আর্থ-সা¤্রাজ্যবাদ অনেকগুলো দেশের প্রতি নজর দিয়েছে। যেমন বেলুচিস্তান। বেলুচিস্তানকে স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য মার্কিনিরা উদ্যোগ নিয়েছে। বেলুচরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অল্পস্বল্প যুদ্ধও করছে। কিন্তু বড় আকারের যুদ্ধ এখনও শুরু হয়নি। তবে, নজর যখন একবার পড়েছে, তখন বেলুচিস্তানকে মার্কিনিরা কব্জা করতে হাল ছাড়বে না। সা¤্রাজ্যবাদের মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এখন কোন বাধাই বাধা নেই বললেই চলে। যেমন সিরিয়াকে পদানত করতে চায়। সরাসরি আক্রমণ করতে পারছে বলে আইএসকে হননের কথা বলে সিরিয়ার বিদ্রোহীদেরকে অস্ত্র ও অর্থ সাহায্য দিচ্ছে। ইসলামী জঙ্গি রাষ্ট্র ধ্বংসের নামে তারা সমৃদ্ধ মুসলিম দেশগুলোকে ধ্বংস করতে চায়। সিরিয়া বহুদিন নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারবে কি না সন্দেহ আছে। ইরাকের পর সিরিয়াই ছিল তাদের প্রধান টার্গেট। কিন্তু পরিবেশ-পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ার কারণে যথেষ্ট সময় লাগছে। সরাসরি সেনাবাহিনী দিয়ে আক্রমণ করা রাশিয়ার হুমকির কারণে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। যে কারণে সিরিয়ার বিদ্রোহীদেরকে দিয়ে সরকার উৎখাতের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। ঠিক একই কারণে ইরান আক্রমণ করা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। ইরানের আশপাশে বড় যুদ্ধ বাধিয়ে ইরানকে জড়িত করে দেশটাকে অস্থির করা যায় কিনা, সে চেষ্টা হয়তো অদূর ভবিষ্যতে করা হবে। যেভাবেই হোক না কেন, মধ্যপ্রাচ্যের সকল প্রাকৃতিক সম্পদ তাদের চাই-ই।
ইউরোপের গরিব দেশগুলোকে ভোগদখল করার কামনা তাদের অনেক দিনের। ওয়ারশ জোট ভাঙার সাথে সাথেই তারা বাহিনী নিয়ে দখলে নেমে পড়তে পারত। কিন্তু তাদের মনে ছিল রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রের ভয়। বহুদিন পরস্পরের পারমাণবিক অস্ত্রপাতি নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করে এখন মনে করছে দখলদারি চালানো যায়। ইতোমধ্যে রাশিয়ারও মনে হয় ঘুম ভেঙেছে, বোধদয় হয়েছে যে, প্রাক্তন রুশ সা¤্রাজ্যই হতে হবে তাদের সীমানা। রাশিয়া এখন মার্কিন আক্রমণের প্রত্যক্ষ প্রতিপক্ষ। ওয়ারশ জোটভুক্ত দেশে মার্কিন দখলদারিত্ব করা যাবে না বুঝেই সা¤্রাজ্যবাদ নিজেদের মিত্রদের রক্ত খাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। গ্রেটব্রিটেন তাদের মিত্রপক্ষ। কিন্তু তাহলে কি হবে! প্রয়োজন বড় বালাই। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গ্রেটব্রিটেনের অন্য পরাধীন রাজ্যগুলোকে লেলিয়ে দিয়ে স্বাধীনতার নামে পুরোপুরি সা¤্রাজ্যবাদের দাস বানানো এবং নিঃস্ব করার সুপরিকল্পনাই আজকের স্কটল্যান্ডের ব্যর্থ গণভোট। কিন্তু এটি শেষ নয়, শুরু। গ-গোল চলতেই থাকবে। এর বিপরীতে ইংল্যান্ডের উচিত হবে, স্কটল্যান্ডসহ সকল অধীনস্থ দেশের উন্নয়ন ও জীবনমান তাদের সমান করা। তাদের সম্পদ তাদের এলাকার উন্নয়নে বেশি বেশি ব্যয় করা এবং সা¤্রাজ্যবাদের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করা।
সা¤্রাজ্যবাদকে প্রতিপক্ষ বানাতে পারলে দেশের সচেতন জনগণ বিচ্ছিন্ন হয়ে সা¤্রাজ্যবাদের ক্রীড়নক হতে চাইবে না। সা¤্রাজ্যবাদের নগ্ন চেহারা তারা দেখবে এবং বুঝবে যে, বেঁচে থাকার জন্য তাদের প্রয়োজন ঐক্য, বিচ্ছিন্নতা নয়।
ইউরোপ ‘যুদ্ধ নেই’ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে সারা ইউরোপব্যাপী শান্তি সম্মেলন করে। গরিব দেশকে শোষণ করে নিজেরা আরামে থাকার দিন শেষ হতে চলেছে। এখন নিজেদের আত্মশক্তিতেই তাদের বাঁচতে হবে। এই বোধকে উপজীব্য করে তারা শান্তি সম্মেলন করতে পারে। ঐ সম্মেলনে তারা রাশিয়াকেও রাখতে পারে। ইংল্যান্ডেরই উচিত হবে শান্তি সম্মেলনের উদ্যোগ নেয়া। যদি তা না পারে তবে তাদের অখ-তা সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে এবং স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডের দাসত্ব পরিণামে ইংল্যান্ডেরও দাসত্বের কারণ হবে।
সা¤্রাজ্যবাদ যন্ত্রণাগ্রস্ত। সে তার ক্ষুধার যন্ত্রণায় হন্যে কুকুর হয়ে উঠেছে। অনেকগুলো যুদ্ধ এবং পরাস্ত অপহরণ ছাড়া তার এখনকার ক্ষুধার জ্বালা মিটবে না। যদি অঢেল সম্পদ লুটপাট করে না আনতে পারে তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ সমাজতন্ত্রের জন্য গৃহযুদ্ধ শুরু করবে। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ঠেকাতে দেশের বাইরে যুদ্ধ এবং লুটপাট প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আর আপনারা তো জানেনই যে, অক্টোপাস বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনে নিজের অঙ্গ নিজে খায়। ঠিক তেমন পরিস্থিতি এখন সা¤্রাজ্যবাদের। শান্তিবাদী গ্রেটব্রিটেনের সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে দেশটাকে টুকরো টুকরো করে দাসরাষ্ট্র বানাতে চায়। রানী কি পারবেন দেশটাকে পূর্ণ মর্যাদায় সমুন্নত রাখতে? দেশ বাঁচাতে সা¤্রাজ্যবাদের খপ্পর থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে তাকে নব্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন তৈরি করতে হবে। যেখানে রাশিয়ার অংশগ্রহণ থাকবে এবং একই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদী পুঁজির আধিপত্য কমাতে হবে। যার গোড়াপত্তন শান্তি সম্মেলন দিয়েই শুরু করা যায়।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
- See more at: http://dailyinqilab.com/2014/09/25/208250.php#sthash.7hTxH08G.dpuf
No comments:
Post a Comment