Tuesday, December 8, 2015

চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় ১৯৭১ সালে কেন পাকিস্তানের পক্ষে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ছিলেন?

রাজা ত্রিদিব রায়: সিংহাসনে আরোহণের দিন

সাবির মুস্তাফা ::
উনিশ্‌শো একাত্তর সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর, বিশেষ করে চাকমাদের ভূমিকা নিয়ে বেশ বিতর্ক আছে। চাকমাদের তৎকালীন রাজা ত্রিদিব রায় পাকিস্তানের পক্ষে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু ত্রিদিব রায়-এর সিদ্ধান্তের পেছনে কী কারণ ছিল বা কী ধরণের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সেই সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছিল, সে বিষয়ে গবেষণা খুব বেশি হয়নি।

Saturday, December 5, 2015

আঠারো বছর কি খুব কম সময়?


সোহরাব হাসান ::
     
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তি সইয়ের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে অস্ত্র তুলে দেন জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তি সইয়ের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে অস্ত্র তুলে দেন জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমাবাংলাদেশে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রথম উচ্চ ডিগ্রিধারী এস এস চাকমার সঙ্গে পরিচয় দুই দশকের বেশি সময় আগে। শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের আমলে তিনি ছিলেন ভুটানে রাষ্ট্রদূত। তারও আগে সরকারের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে অবসর নেন। অবসরের পর থেকে নিয়মিত লেখালেখি করছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা নিয়ে তাঁর বেশ কটি বই আছে।

Friday, December 4, 2015

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি





ড.মিল্টন বিশ্বাস ::

১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হয় যা সমসাময়িক কালে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সেই অঞ্চলের সমস্যার সফল রাজনৈতিক পরিসমাপ্তি ঘটায় বিশেষ মর্যাদা লাভ করে। একই সাথে এই উপলক্ষে প্রাপ্ত ইউনেস্কো পুরস্কার পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের জন্য বয়ে আনে এক অনন্য স্বীকৃতি। এ চুক্তির পরই পুরো পার্বত্যাঞ্চল জুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সুষ্ঠু অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিকাশ যথেষ্ট বেগবান হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশনায় বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।

আসামের জাতিগত সংঘাত



শামীমা বিনতে রহমান ::
আসামের জাতিগত সংঘাতের আঁচটা একটু বেশিই উত্তর প্রদেশে। এখানে মুসলমানদের সংখ্যা ভারতের অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় যথেষ্ঠ বেশি, ৪০ লাখ ছাড়ানো। রাজধানী শহর লাক্ষ্ণৌতে ঈদ উত্তর এক আড্ডায়, যেটা শৈশবের বন্ধুদের আড্ডা এবং যেখানে ধর্মীয় পরিচয় কোনভাবেই প্রাধান্যের না, সেই আড্ডায় ধর্মীয় পরিচয়ে হিন্দু এবং মুসলমান বন্ধুদের উল্লাস এসে থমকে দাঁড়ায় আসামে।

Thursday, December 3, 2015

18 years and not done yet!


Brig Gen Shahedul Anam Khan ndc, psc (Retd) ::

Today is the 18th anniversary of the CHT Accord, and it is pathetic to hear the tribal leaders still lamenting its non fulfillment in toto. Very few would take issue with them on this count. The Accord remains only partly implemented, its more complex provisions left in a limbo all these years.

শান্তিচুক্তি নিছক কাগুজে দলিল!



দীপায়ন খীসা ::
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ১৮তম বর্ষপূর্তি আজ ২ ডিসেম্বর। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চার খণ্ডে সম্পাদিত এই চুক্তিকে ঘিরে পাহাড়ের মানুষ নতুন এক সম্ভাবনার স্বপ্ন বুনেছিল। দীর্ঘ শরণার্থী জীবন কাটিয়ে নিজভূমে ফিরেছিল হাজারো মানুষ। আশা-জাগানিয়া হতে চেয়েছিল পাহাড়ের চিরদুঃখী জুম্ম জনগণ। এই ১৮ বছরে আশার বীজটি অনেক ডালপালা ছড়ানোর কথা ছিল। কিন্তু খেরোখাতা সে কথা বলে না। মেলে না অনেক হিসাব।

Wednesday, December 2, 2015

শান্তি চুক্তির আঠার বছর এবং বাঙালিদের আট দাবি



 ড. মু. আমান উদ্দীন মুজাহিদ : :
পাহাড়-অরণ্য-হ্রদঘেরা সবুজ সমারোহের প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর বাংলাদেশের এক-দশমাংশ এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রাম; যা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত। অপরূপ সৌন্দর্যের এ জনপদ অশান্তির আগুনে জ্বলছে প্রতিদিন। পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে চলমান সংঘাতে খুন, অপহরণের ঘটনা আজ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকা- পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ মহামারী আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সম্পাদিত তথাকথিত শান্তিচুক্তির আড়ালে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালিদের নিজ ভূমিতে পরবাসী করে দেওয়া হয়েছে। উপজাতীয় তথা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর জন্য যাবতীয় ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অধিকারী করা হয়েছে।